পুলিশ বলছে, “নারীদের পোশাক পরে, মুখে মেকআপ দিয়ে নারীর মত আচরণ করে বিভিন্ন স্থানে তারা চাঁদাবাজি করে আসছিল।”
নারীর পোশাক পড়ে মুখে রঙ মেখে ‘হিজড়ার বেশে’ চাঁদাবাজি করছিলেন তারা। খবর পেয়ে চারজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে তারা সবাই পুরুষ।
শনিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা নিজেদের মৌসুমী হিজড়া (৩২), অনিকা হিজড়া (১৯), তুলী হিজড়া (২৪) এবং দুলী হিজড়া (২৫) নামে পরিচয় দিত।
দীর্ঘদিন তারা রাজধানীর বাস এবং কাউন্টারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চাঁদাবাজি করছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মো. মোহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা নিজেদের তৃতীয় লিঙ্গ বলে পরিচয় দিলেও মূলত তারা পুরুষ।
“নারীদের পোশাক পরে, মুখে মেকআপ দিয়ে নারীর মত আচরণ করে বিভিন্ন স্থানে তারা চাঁদাবাজি করে আসছিল।”
তিনি জানান শনিবার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ব্যবস্থাপক জিয়াউল হকের কাছে তারা দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
হিজড়া পরিচয়ে চাঁদাবাজি, পুলিশ বলছে পুরুষ
“চাঁদা না পেয়ে বাসের যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে তিনি ৫০০ টাকা দিলে তারা নিতে অস্বীকৃক্তি জানায় এবং পকেট থেকে প্রায় এক হাজার টাকা বের করে নিয়ে যায়।”
বাকি টাকার জন্য তারা সেখানে হৈ-হুল্লোড় এবং অশোভন আচরণ শুরু করলে পুলিশকে খবর দেন জিয়াউল।
ওসি বলেন, “খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে এবং তাৎক্ষনিক জবানবন্দির পাশাপাশি তাদের তল্লাশি করে জানা যায় তারা পুরুষ।”
তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাওয়া গেলে তাদের ‘নেটওয়ার্ক’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হবে।
হিজড়াদের ‘উপদ্রব’ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ